আকাশ চৌধুরী
শিবালয়ের পাটুরিয় ৫ নং ঘাটের কাছে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা টানা আট দিন পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারি জাহাজ প্রত্যয়।
(২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া উক্ত ফেরিটিকে সম্পূর্ণরূপে পানির উপর ভাসিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের ভাটিতে আরুয়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার নদীর তীরে নিয়ে রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ও উদ্ধার কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় নানা প্রতিকুলতার মধ্যে পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে এই ফেরি উদ্ধারের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজটি করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ উদ্ধার কার্যাক্রমের ইউনিট প্রধান বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম ।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘পদ্মায় ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় তীব্র স্রোতের কারণে পানির নীচে গিয়ে ফেরিটি উল্টে যায়। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহে পলি পড়ে ফেরিটির ওজন আরও বেড়ে যায়। ২৪০ টন ওজনের ফেরিটি ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। ফলে উদ্ধার জাহাজ হামজা ও রুস্তম ফেরিটি তুলতে ব্যর্থ হলে ঘটনার দুদিন পর উদ্ধারকাজে যুক্ত করা হয় বিআইডব্লিবউটিএরর শক্তিশালী উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয়। প্রত্যয়ের সক্ষমতা রয়েছে ২৫০ টন, যে কারণে উদ্ধার কাজে একটু সময় বেশী লেগেছে। এই ফেরিটি উদ্ধার করতে গিয়ে পলি অপসারণ, উল্টো ফেরিটিকে সোজা করাসহ নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস বাংলাদেশ নৌবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটি সোজা অবস্থায় উদ্ধার করতে সম্ভব হয়েছে। ফেরিকে এখন নদীর পারে এনে রাখা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ৯টি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যায়। পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় ফেরির ইঞ্জিন চালকের লাশ উদ্ধার হয়। আরও একটি ৮টি ট্রাক, কভার ভ্যানসহ মোট ৯টি ট্রাক উদ্ধার হয়েছে।