আকাশ চৌধুরী
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য়পর্যায়) প্রকল্পের কার্যকরী করণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিবালয় উপজেলার ৬ নং মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক রেলী অনুষ্ঠিত হয়। রেলী মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ হতে শুরু হয়ে মহাদেবপুর বাজার ঘুরে পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।উক্ত রালীতে মোট ২০০ জন অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে) ১২০ জন নারী ৮০ জন পুরুষ। উক্তরালীতে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক,সমাজসেবক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সমন্বয়ে এক রেলী প্রদক্ষিনের পর মহাদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী হাওয়া খাতুন।
এবং ইউপির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এ সময় চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত কাজ করছে। এখানে ৩০০০০০/- টাকা পর্যন্ত ছোট ছোট বিরোধ সমূহ অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তি করা হয়। গ্রাম আদালতে মামলা করার জন্য দেওয়ানি মামলার জন্য ২০ টাকা আর ফৌজদারী মামলার জন্য ১০ টাকা ফি লাগে। এখানে বিচারের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের দুজন করে সদস্য মনোনয়ন করতে হয় তার একজন সদস্য হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও অন্যজন হচ্ছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। উভয়পক্ষের দুজন করে চারজন এবং অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এই পাঁচজন নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। প্রত্যেক পক্ষের নিজস্ব প্রতিনিধি নিয়ে বিচার করা হয় বলে এই আদালতে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হয়। এ আদালতে কোন আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই ইউনিয়ন পরিষদে মোট ৫১টি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তারমধ্যে ৪৭ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে যার অধিকাংশ বিরোধ নিজেরা আপোষে বা প্রাক বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।যার মাধ্যমে উক্ত পক্ষগন তাদের বিরোধীয় বিষয় শান্তিপূর্ণ সমাধান পেয়েছে এবং গ্রাম আদালতে এ ধরনের বিচার করার কারণে এলাকায় বিরোধ সংঘটিত হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।অতপর শিবালয় উপজেলার উপজেলা সমন্বয়কারী হাওয়া খাতুন সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আপনার এলাকায় যে সমস্ত ছোট ছোট বিরোধ সংঘটিত হয় সে সমস্ত বিরোধের ন্যায় বিচার এখন আপনার ইউনিয়নে করা হয়। এ ধরনের বিচার করতে এখন থানা বা কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। গ্রাম আদালতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়।অতপর চেয়ারম্যান স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে র্যালির পরবর্তী আলোচনা শেষ করেন।