১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থী।

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • 321

আবু সুফিয়ান
মানিকগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থী।

পঞ্চম দিনের মতো সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। আনসার বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সবাই সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ৫ আগষ্ট সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের দিন থেকেই রাজধানী-সহ দেশের সকল বিভাগ গুলোতে মিলছে না পুলিশের দেখা। সেদিন বিকেল থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। পরের দিন মঙ্গলবার সরা-দেশেই যানবাহনের চাপ অনেক টাই বেড়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সড়কের বিভিন্ন যায়গায় দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। এমন অবস্থায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের।

আজ শনিবার ১০ আগষ্ট, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্বে দেখা যায়। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মানিকগঞ্জ,মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ-সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী সড়কে থাকছেন।

মানিকগঞ্জ ন্যশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজের শিক্ষার্থী আলামিন হোসাইন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় তার বাড়ি। তিনি আকাশ বিডি নিউজ-কে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সড়কে শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের এলাকাতেও এই কাজ চলছে। সবাই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেই কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে শৃঙ্খলা মানতে বলা হচ্ছে। তবে যারা মানছে না বা বাইকে হেলমেট ছাড়া পথে এসেছে, তাদের ১০ মিনিট অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি অনেকে ভালোভাবে নিচ্ছে, যারা মন খারাপ করছে, তাদেরও বুঝিয়ে বলা হচ্ছে।’
৬ আগস্ট থেকে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে নামে শিক্ষার্থীরা। মাত্র ৩ দিনে তারা প্রতিটি সড়কে যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে তা আগে দেখা যায়নি কখনও। সম্মিলিত চেষ্টা ও দেশের প্রতি ভালবাসা থাকলে যে আসলেই চিত্র পাল্টে দেয়া সম্ভব তা শিক্ষার্থীরাই প্রমাণ করেছে।

কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়া এত ভালো তদারকিতে অবাক পুরো দেশবাসী। তাই এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করেছেন তারা।

ট্যাগস :

শিবালয়ের মহাদেবপুর গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে সচেতনতা

মানিকগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থী।

আপডেট : ০১:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

আবু সুফিয়ান
মানিকগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থী।

পঞ্চম দিনের মতো সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। আনসার বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সবাই সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ৫ আগষ্ট সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের দিন থেকেই রাজধানী-সহ দেশের সকল বিভাগ গুলোতে মিলছে না পুলিশের দেখা। সেদিন বিকেল থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। পরের দিন মঙ্গলবার সরা-দেশেই যানবাহনের চাপ অনেক টাই বেড়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সড়কের বিভিন্ন যায়গায় দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। এমন অবস্থায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের।

আজ শনিবার ১০ আগষ্ট, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্বে দেখা যায়। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মানিকগঞ্জ,মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ-সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী সড়কে থাকছেন।

মানিকগঞ্জ ন্যশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজের শিক্ষার্থী আলামিন হোসাইন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় তার বাড়ি। তিনি আকাশ বিডি নিউজ-কে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সড়কে শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের এলাকাতেও এই কাজ চলছে। সবাই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেই কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে শৃঙ্খলা মানতে বলা হচ্ছে। তবে যারা মানছে না বা বাইকে হেলমেট ছাড়া পথে এসেছে, তাদের ১০ মিনিট অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি অনেকে ভালোভাবে নিচ্ছে, যারা মন খারাপ করছে, তাদেরও বুঝিয়ে বলা হচ্ছে।’
৬ আগস্ট থেকে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে নামে শিক্ষার্থীরা। মাত্র ৩ দিনে তারা প্রতিটি সড়কে যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে তা আগে দেখা যায়নি কখনও। সম্মিলিত চেষ্টা ও দেশের প্রতি ভালবাসা থাকলে যে আসলেই চিত্র পাল্টে দেয়া সম্ভব তা শিক্ষার্থীরাই প্রমাণ করেছে।

কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়া এত ভালো তদারকিতে অবাক পুরো দেশবাসী। তাই এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করেছেন তারা।