আকাশ চৌধুরী
শিবালয়ে পুলিশ পরিচয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৭০ ভরি স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ২০২৪ পাবনা যাওয়ার পথে আরিচা স্পিডবোট ঘাটে এ ঘটনার শিকার হন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের বাদশা খলিফার ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে। শিবালয় থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ রউফ সরকার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ব্যবসায়ী মিজান পাবনায় সরবরাহের জন্য ৭০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে আরিচা স্পিডবোট ঘাটে যান। পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে থানায় নেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে বসিয়ে আরিচা ২নং ফেরি ঘাটের একটি অফিসে নেয়। সেখানে থাকা আরও তিনজন দেশীয় অস্ত্রের মুখে একটি বাসায় নিয়ে সেখানে দিনভর আটকে রাখে। পরে তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাথে থাকা ৭০ ভরি স্বর্ণ ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে উপজেলার উথলী বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে আসে অপহরণকারীরা। যার বাজার মূল্য আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা।
এ ঘটনার ৬ দিন পর অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫/৬ জনের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে শিবালয় থানায় মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের বাসায় গিয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, ‘সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল, চারিগ্রামের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর বিদেশ থেকে লোকের মাধ্যমে স্বর্ণ বাংলাদেশে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসে। যার কোনো কাগজ নেই। এ কারণে আমাদের এলাকায় স্বর্ণ ছিনতাই হলে পুলিশের জবাবদিহির ভয়ে মামলা করতে চান না কেউ।’
সিংগাইর গোবিন্দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন পোদ্দার বলেন, ‘শুনেছি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকা ৭০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই হয়েছে। এ ঘটনায় শিবালয় থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে মামলা করা হয়েছে।’
শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ রউফ সরকার বলেন, ‘অপহরণ ও স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও দোষীদের ধরার জোর তৎপরতা চলছে।
এছাড়াও একান্ত সাক্ষাৎকালে দৈনিক বাঙলার জাগরন এর মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি আকাশ চৌধুরী কে বলেন অপরাধী যেইহোক আইনের আওতায় আনা হবে।