আকাশ চৌধুরী
শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের যমুনা নদীর দুর্গম আলোকদিয়া চরের তারখাম্বা এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এর সাথে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে বালু উত্তোলনের সরঞ্জামসহ একটি ড্রেজার মেসি জব্দ করেছে।
আজ ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ সকালে যমুনা নদীর ৭ ও ৮ নম্বর বৈদ্যুতিক পিলারের মধ্যবর্তী এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফয়েজ উদ্দিন।
আটককৃতরা হলেন, শিবালয় উপজেলার ত্রিলোচনপট্টি গ্রামের মো. রাকিব হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলার সাদাতপুর চর আন্ধারমানিক এলাকার রাহুল, নারায়ণগঞ্জ জেলার দিগলবন্দি বন্দর এলাকার রিয়াদ, একই জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সম্ভূপুরা গ্রামের শাহ আলী ও একই উপজেলার ফরদি গ্রামের বিপ্লব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আলোকদিয়ার চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল, যা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করার পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছিল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার ফসলি জমি, বসতভিটা এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি হুমকির মুখে ছিল।
এর মধ্যে প্রথমেই বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী অবৈধ বালু উত্তোলনের শাস্তি সম্পর্কে দফায় দফায় মাইকিং করে জনসাধারণকে অবগত করেছে। পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাধ্যমে গত কয়েক মাসে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অন্তত ৩১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ১১ জনকে ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা, ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ২৪টি ড্রেজার মেশিন ব্যবহারে অনুপযোগী করাসহ ৩২ হাজার ফুট পাইপ অকেজো করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার ভুমি এসএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক ব্যক্তিদের ও জব্দকৃত ড্রেজার শিবালয় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতায় করেন।