০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবালয় অনুমোদনহীন হাসপাতালে প্রসূতি অস্ত্রোপচার, নবজাতকের মৃত্যু

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 157

আকাশ চৌধুরী
১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে শিবালয়ে ‘ইছামতী জেনারেল হাসপাতাল’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রসূতি অস্ত্রোপচারের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত নবজাতকের পিতা ফরিদুর রহমানের দাবি, চিকিৎসকের ভুলে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ফরিদুর রহমান শিবালয় ইউনিয়নের অন্বয়পুর গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। তিনি একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩৭ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে (৩০) নিয়ে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী চিকিৎসকের কাছে যান স্বামী ফরিদুর রহমান। চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দিলে সোনিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীত পাশে অবস্থিত ‘ইছামতী জেনারেল হাসপাতাল’ নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শাহ আলমগীর তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রক্ত ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা করেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে বাচ্চার ওজন দেখানো হয় দুই কেজি ৯০০ গ্রাম আর ডায়াবেটিক সাড়ে ৭।

ফরিদুর রহমান জানান, রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসক জানান, বাচ্চার ওজন মাত্র দুই কেজি ৯০০ গ্রাম, কাজেই এক সপ্তাহ পরে সিজার করলে ভালো হবে। তবে যেহেতু একটু সমস্যা আছে, আপনারা রোগীকে ভর্তি করান, অক্সিজেন দিয়ে রাখেন, দেখেন সুস্থ হয় নাকি। এরপর রোগীকে ভর্তি করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এর ঘন্টা খানেক পর রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এরপর আমরা রোগীকে বাসায় নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মমিনূল ইসলাম ওই হাসপাতালেই সিজার করতে বলেন। রোগীর ডায়াবেটিক থাকায় আমরা জেলা শহরের কোন হাসপাতালে সিজার করতে চাই। কিন্তু ওই চিকিৎসকের পীড়াপীড়ীতে সিজার করতে রাজি হই।

ট্যাগস :

নিলাচলের রোড ইনচার্জের অভিযোগে জসিম খানসহ গ্রেফতার ৩

শিবালয় অনুমোদনহীন হাসপাতালে প্রসূতি অস্ত্রোপচার, নবজাতকের মৃত্যু

আপডেট : ১২:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

আকাশ চৌধুরী
১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে শিবালয়ে ‘ইছামতী জেনারেল হাসপাতাল’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রসূতি অস্ত্রোপচারের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত নবজাতকের পিতা ফরিদুর রহমানের দাবি, চিকিৎসকের ভুলে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ফরিদুর রহমান শিবালয় ইউনিয়নের অন্বয়পুর গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। তিনি একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩৭ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে (৩০) নিয়ে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী চিকিৎসকের কাছে যান স্বামী ফরিদুর রহমান। চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দিলে সোনিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীত পাশে অবস্থিত ‘ইছামতী জেনারেল হাসপাতাল’ নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শাহ আলমগীর তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রক্ত ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা করেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে বাচ্চার ওজন দেখানো হয় দুই কেজি ৯০০ গ্রাম আর ডায়াবেটিক সাড়ে ৭।

ফরিদুর রহমান জানান, রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসক জানান, বাচ্চার ওজন মাত্র দুই কেজি ৯০০ গ্রাম, কাজেই এক সপ্তাহ পরে সিজার করলে ভালো হবে। তবে যেহেতু একটু সমস্যা আছে, আপনারা রোগীকে ভর্তি করান, অক্সিজেন দিয়ে রাখেন, দেখেন সুস্থ হয় নাকি। এরপর রোগীকে ভর্তি করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এর ঘন্টা খানেক পর রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এরপর আমরা রোগীকে বাসায় নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মমিনূল ইসলাম ওই হাসপাতালেই সিজার করতে বলেন। রোগীর ডায়াবেটিক থাকায় আমরা জেলা শহরের কোন হাসপাতালে সিজার করতে চাই। কিন্তু ওই চিকিৎসকের পীড়াপীড়ীতে সিজার করতে রাজি হই।